মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিমন মজুমদারকে (২৮) হত্যা করে তার গলায় ফাঁস দিয়ে মরদেহ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ ও তার পরিবার। এজন্য হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন অনিক, সাধারণ সম্পাদক তানভীর মাহামুদ আবির ও নিহত লিমনের মা লায়লা বেগম। পরে পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে সমাবেশ শেষ হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন মোল্লা, রাশেদ তালুকদার খোকন, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিপন কাজীসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় লোকজন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, লিমনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখন পর্যন্ত হাতে পায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলতে পারবো এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকালে শহরের আমিরাবাদ এলাকার মিলন সিনেমা হলের পিছনে লিয়াকত আলীর নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় লিমন মজুমদারের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব