কক্সবাজারে বিজিবি এবং র্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা পাচারকারী ও দুই জলদস্যূসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। এ সময় ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবা ও ৮টি অস্ত্র এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকালে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। অপরদিকে পেকুয়ার মগনামায় র্যাবের সাথে জলদস্যূদের বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৮টি অস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব।
বিজিবি টেকনাফ ২নং ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, রাতে বিজিবির একটিদল অভিযান পরিচালনা করার সময় টেকনাফ খারাংখালী নাফনদী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ২ জন ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় মিয়ানমারের ২ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। পরে তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ নব্বই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় জানা না গেলেও মিয়ানমার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের টেকনাফ থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটিদল পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায় অভিযানে যান। এ সময় একটি জলদস্যূ বাহিনীকে ধাওয়া করলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে তারা। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে জলদস্যূরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে ৮টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ২৬ রাউন্ড গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জন জলদস্যূকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত জলদস্যূদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য পেকুয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব