বরিশালে ৯ হাজার ৮শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন।
সোমবার দুপুর দেড়টায় পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান নৌপথে বরিশালে আসার গোপন খবর পান তারা। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দাদের সহায়তায় গত রবিবার ভোরে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আগত এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৪ নম্বর কেবিনে অভিযান চালিয়ে একটি টিস্যুবক্সের ভেতর লুকিয়ে রাখা ৯ হাজার ৮শ’ পিস ইয়াবা সহ বহনকারী পটুয়াখালীর লাউকাঠী ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের নাজেম মাতব্বরের ছেলে নাসির মাতব্বরকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি মুঠোফোন।
জব্দকৃত ইয়াবার অবৈধ বাজার মূল্য প্রায় ৪৯ লাখ টাকা। ওই সময় ইয়াবার চালান গ্রহন করতে বরিশাল নদী বন্দরে যাওয়া বরিশালের শীর্ষ মাদক সম্রাট নগরীর ভাটিখানার মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. আজিম হোসেন হাওলাদার ওরফে ফেন্সি আজিমকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকেও উদ্ধার করা হয় একটি মোটর সাইকেল এবং ৩টি মুঠোফোন।
আটক আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, মোহাম্মদ দিলদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার থেকে ইয়াবা কিনে নাছির মাতব্বরের মাধ্যমে ঢাকা থেকে নৌপথে বরিশালে সরবরাহ করে।
আটক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের পাশাপাশি এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথের চেয়ে নৌ-পথে তুলানামূলক নিরাপদে বরিশালে মাদক পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পুলিশ এই চক্রের বিরুদ্ধে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার