ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় সাইদুল ইসলাম (৩৫) নামক এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় হামলায় আরো ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুল ইসলাম ওই গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে এবং নাটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ভাতিজা।
নিহতের চাচাতো ভাই মোর্শেদ আলম জানান, রাতে ঢাক-ঢোল নিয়ে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দোয়াত কলমের সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। ওই সময় নৌকার সমর্থক জাহাঙ্গীর মিয়া, আমির হোসেন, মুসা মিয়ার নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। তখন তাদের হামলায় আমিসহ চারজন গুরুতর আহত হই। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক তদন্ত রাজু আহমেদ নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিত্তরঞ্জন পাল জানান, কুড়িঘর গ্রামে সাবেক দুই চেয়ারম্যান হুমায়ুন ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে একটি চায়ের দোকানে রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান হুমায়ুনের লোকজনের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ভাতিজা সাইদুলের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুনের পক্ষে লোকজন হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাইদুল। তবে এলাকার লোকজন বলাবলি করছে নির্বাচনে এজেন্ট নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। আসলে ঠিক তা নয়।
তিনি আরো বলেন, হামলার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুনসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর/হিমেল