নোয়াখালী সদরের হাজীরহাট এলাকায় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। আজ ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়।
আহতরা হলেন সনিয়া বেগম (২৫), মো: ইব্রাহীম (৩৫) ও আরিফ হোসেন তারিফ (৩২)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইব্রাহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের হাজিহাট বলির দোকান এলাকার সামছু মাস্টারের বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে একদল ডাকাত সিধ কেটে ঘরের ভিতরে ঢোকে। এতে ঘরের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করে। এ সময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৩ জনকে আহত করে।
বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফয়েজ (৫০) নামে এক ডাকাতকে জনতা ধরে গণধোলাই দিলে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত ফয়েজ কুমিল্লার জেলার চৌদ্দগ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান সাবু জানায়, গ্রামবাসী ডাকাতদের ঘিরে ফেললে পালানোর সময় একজনকে ধরে গণপিটুনি দিলে সে মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
সুধারাম মডেল থানার এস আই নেপাল চন্দ্র জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তিনি আরো বলেন, নিহতের মোবাইল ফোন থেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রামে।
এ দিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকার জাউডগি গ্রাম থেকে মোসলেউদ্দিন পাটোয়ারী (৩৫) নামে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে কি কারণে সে মারা গেছে তা জানা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল