নাটোরের সিংড়ায় যুবলীগ নেতা মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পানি নিষ্কাশনের খাল অবৈধ দখলের মাধ্যমে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়, পানাসি প্রকল্পের আওতায় ওই খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিসহ এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ও ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মফিদুল ইসলাম অবৈধভাবে ওই খালের ভিতর বাঁধ দিয়ে পুকর খনন করে মাছ চাষ করেছেন। স্থানীয়দের আপত্তি সত্বেও সম্প্রতি তিনি নতুন ভাবে খনন করে বাঁধটি আরও উঁচু ও চওড়া করছেন। এতে করে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তারা পুকুর খনন বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মফিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কোন পুকুর খনন করেননি। তবে এলকার প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির ফসল আনা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর সকলের মতামতের ভিত্তিতে খালের ভিতর দিয়ে মাটি ফেলে দু’টি পথ করেছেন। পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি বাঁধ বা পথের নিচে দিয়ে পাইপ দেওয়া আছে। তারা থেকে ৮ বছর ধরে এই বাঁধ দিয়ে ফসল আনা নেওয়া করেন। যেহেতু উৎপাদিত ফসল সরু পথ দিয়ে আনা নেওয়া করতে সমস্যা হয় সেজন্য এবার ফসল ওঠার আগে মাটি ফেলে চওড়া ও উঁচু করা হচ্ছে। তবে তিনি তার জমির ওপর দিয়েই মাটি ফেলে ফসল আনা নেওয়া করেন। পানাসি প্রকল্প বা অন্য কেউ খাল কাটার জন্য আমার জমি অধিগ্রহণ করেনি। এরপরও পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থ রেখে তারা মাটি দিয়ে পথ বানিয়েছেন।
সিংড়া উপজেলা বিএডিসির প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গোয়ালবাড়িয়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পানাসি প্রকল্পের আওতায় খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও পুরোপুরি কাজ শুরু করা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভোলা বলেন, গোয়ালবাড়িয়া খাল দখল করে পুকুর খননের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এলাকায় গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যকে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, তিনি খবরটি জানতে পেরে এলাকার তহশিলদারকে সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার