কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্ত বাণিজ্যে গত মার্চ মাসে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে টার্গেটের চেয়ে ৭১ লাখ ১৯ হাজার টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের মার্চ মাসে ২৮৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই শুল্ক স্টেশনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এই মাসে ১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা টার্গেটের চেয়ে ৭১ লাখ ১৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে। এতে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করা হয় ২৩ কোটি ২১ লাখ ৪১ হাজার টাকার। অপরদিকে, ৪৮টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার পণ্য মিয়ানমারে রফতানি করা হয়েছে।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ২ হাজার ৩৬০টি গরু, ৯২১টি মহিষ আমদানি হয়েছে। এতে ১৬ লাখ সাড়ে ৪০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয় বলেও জানা যায়।
গত মার্চ মাসে মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে পণ্য আমদানি ও রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। তবে এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় গতি কমবে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা শংকর কুমার দাশ বলেন, গত মার্চ মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি তুলনামূলক কম হয়েছে। সে দেশে কিছু কিছু এলাকায় সেনা অভিযান থাকায় পণ্য আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাঠ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত মাসে যেসব পণ্য আমদানি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শুটকী, আঁচার, হিমায়িত মাছ, বরই, তেতুল ও আদা।
অপরদিকে, রফতানিপণ্যের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল চুল, গেঞ্জি, অ্যালুমুনিয়াম ও স্যানিটারি সামগ্রী।
শুল্ক কর্মকর্তা আরও বলেন, তবে সীমান্ত বাণিজ্যে চলমান অবস্থা বিরাজমান থাকলে রাজস্ব আদায়ও আরও কমে আসবে। সীমান্ত বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম