বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কাবুল মোল্লা(৪৮) নামে এক করাত কল শ্রমিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আপন ভাইসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।
আটককৃতরা হলেন আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্লার ছেলে নিহত কাবুল মোল্লার ছোট ভাই বাবুল মোল্লা (৪৫), একই এলাকার মৃত মন্টু খানের ছেলে মুন্না খান(২৪) ও আব্দুল মজিদ হাওলাদার ওরফে কালু দফাদারের ছেলে বাচ্চু হাওলাদার(৩০)।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই মোঃ শহিদুর রহমান মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বরিশালের কালিজিরা সেতু এলাকা থেকে নিহত কাবুলের আপন ছোট ভাই বাবুলসহ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেন। গত ২০ জানুয়ারি রাতে কাবুল হত্যা ঘটনার পর থেকে এই ৩ জন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। বাবুল মোল্লা গত ১লা অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে দৈবজ্ঞহাটিতে সংঘঠিত জোড়া হত্যা মামলারও আসামি বলে থানা সূত্রে জান গেছে।
এ বিষয়ে এসআই শহিদুর রহমান বলেন, বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কাবুল মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তিমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও রড় ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
প্রসংগত, গত ২০ জানুয়ারি রাতে ৩ সন্তানের পিতা করাতকল শ্রমিক কাবুল মোল্লাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বেলা ৯টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ২২ জানুয়ারি নিহত কাবুলের পিতা আব্দুল গফফার মোল্লা বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৩। মামলায় স্থানীয় আব্দুর রব শিকদার, খবির মোল্লা, ইয়ামিন শিকদার ও ফেরিওয়ালা নুরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। তারা বর্তমানে জেল হাজতে আছেন। ২৮ জানুয়ারি বাগেরহাট পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর