খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুস্থ অসহায় ও গরীব দারিদ্র্য শ্রেণির জনগোষ্ঠীর মাঝে ২৪ মাসের জন্য সরকার ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করে থাকে। এদিকে এ কার্ড পেতে ২/৩ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার ও মহিলা সংস্থার বিরুদ্ধে।
বুধবার লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭৪০জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণ শুরু করা হয়। ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদ ইকবাল বিতরণকালে ৯জন কার্ডধারীর কার্ড জব্দ করেছেন বলে জানা যায়।
এদিকে মঙ্গলবার লক্ষ্মীছড়িতে সরজমিনে দেখা গেছে, কার্ডধারীদের মধ্যে ইউপি মেম্বারের মেয়ে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের স্ত্রী-আত্মীয়ের নামেও কার্ড রয়েছে।
বাইন্যাছুলা গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রমণি চাকমা (৭০) জানান, তিনি ১ হাজার টাকা দিয়েও কার্ড পাননি। চন্দ্রমণি এতো বছর বয়সেও দিন আনে দিনে খায় কিন্তু তার কপালে টাকা দিয়েও কার্ড জুটেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ায় দুইল্যাতলি ইউনিয়নের ৭টি কার্ড বাতিল করেছেন। ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে রাজনীতিক নেতা, সচ্ছল পরিবার যেমন রয়েছে তেমনি গুচ্ছগ্রামের রেশন সুবিধাভোগী পরিবারও রয়েছে।
দুইল্যাতলি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার বিএনপির সহ-সভাপতি দেলোয়ার ফরাজির স্ত্রী লায়লীর নাম যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুর রহিমের মেয়ে রহিমা খাতুন ইতির নামও রয়েছে। একইভাবে ৬নং ওয়ার্ডেও আওয়ামী লীগের সম্পাদিকা বিউটি আক্তারের নামও আছে।
সবমিলে তিনটি ইউনিয়নে ১৮৩৪জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণের কথা রয়েছে। দুইল্যাতলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ত্রিলন চাকমা টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মেম্বাররা হয়তো ফটোকপিসহ কাগজপত্রের জন্য ২০০টাকা করে নিয়েছে।
এদিকে মুঠোফোনে ইউএনও জানান, আমরা ৯ জনের কার্ড জব্দ করেছি। যেসব অভিযোগ পাব এসব কার্ড আমরা যাচাই-বাছাই ছাড়া চাল বিতরণ বন্ধ রাখব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন