নানা আয়োজনে শেরপুর পৌরসভার গৌরবের ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। ৬ মাসের বিভিন্ন কর্মসূচী শেষে ১ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী শেষ পর্বের অনুষ্ঠান চলছে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে মন্ত্রী-সচিব, গণ্যমান্যদের আনাগোনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত এখন পৌর অঞ্চল।
চারিদিকে চলছে ১৫০ বছরের পৌরসভার নানা স্মৃতির কথা। কর্মসূচীর প্রথম দিন গত সোমবার শহীদ দারোগালি পৌর পার্ক মাঠে বিশাল প্যান্ডেলে এসেছিলেন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন সদর আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
দ্বিতীয় দিনে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শেরপুর পৌরসভা সার্ধশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটি’র আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া হাতি, ঘোড়া, পালকি, গুরুর গাড়ি এবং জমিদার আমনের হুক্কা সম্বলিত সাজসজ্জার সাজানো জমিদার সাধারণ মানুষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তৃতীয় দিন আজ বুধবার পৌর পার্কমাঠে আসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শেষ দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার আসছেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া গত ৪ দিনের অনুষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের শেরপুরের বেশ কয়েকজন সচিব ও বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও দেশের নামকরা শিল্পী এবং ব্যান্ড দল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সঙ্গীত সন্ধ্যাকে ঘিরে অসংখ্য মানুষ ভীড় পড়ে যায় বিকাল থেকেই।
পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া জানায়, এতিহ্যবাহি শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজন মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন আনন্দের খোরাক হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল শেরপুরের তৎকালিন নয়আনী জমিদারের উদ্যোগে শেরপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম প্রশাসক ছিলেন বৃটিশ নাগরিক টি এ ডনো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর