বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো : মির্জা আব্বাস
- দুই বছরে নীলফামারীতে পুষ্টিহীনতার হার কমানোর পরিকল্পনা
- যতই বাধা-বিপত্তি আসুক ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে : দুদু
- বরগুনায় ৩ ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা, একজনের বিরুদ্ধে মামলা
- ৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী
- উপকূলজুড়ে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা
- ৫ আগস্টের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
- মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার তবে চলবে শাটডাউন
- আইসিসিবিতে র্যানকনের মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডারের উদ্বোধন
- ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
- শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে : রিজভী
- ৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার
- গাইবান্ধায় বিল থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
- রাজশাহীতে ডেঙ্গুতে নববধূর মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে ভ্যানচুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- প্রেমিকের সামনে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা
- বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি
- মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
- সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের
- আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত
রায়পুরে চিকিৎসক ও নার্স-সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও লোকবলের অভাবে এবং অনিয়ম-অবস্থাপনায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে আছে এক্সরে মেশিন। একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। নষ্ট হয়ে আছে জেনারেটর। হাসপাতালের খাবার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।
জানা যায়, উপজেলার পৌর শহরসহ আরও ১০টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতেল ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কাগজে কলমে আছে ৯ জন কিন্তু বাস্তবে আছে ৪ জন। বাকিরা ব্যাক্তিগত বিভিন্ন কাজ কর্মে থাকেন কর্মস্থলের বাহিরে। ১৪ জন নার্সের মধ্যে আছে মাত্র ৭জন। টেকনিশিয়ান, অপারেটর ও সুইপারসহ রয়েছে লোকবলের তীব্র সংকট। এখানে বর্হিবিভাগে ২৫০ থেকে ৩৫০ জন রোগী প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করছেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অনেকেই চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। কেউবা প্রাইভেট হাসপাতালে কোনো রকম চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের রোগী রোজিনা আক্তার জানান, বুক ও পেট ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন কিন্তু কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে ডাক্তার না পেয়ে চলে যান। এরকম একাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার কথা জানান।
উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা ও ওয়ার্ডবয় জানান, ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে। দরিদ্র অসহায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেনারেটরটিও নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে রাতে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। এ সুযোগে মাদকসেবীরা হাসপাতাল আঙ্গিনায় আড্ডা মারেন বলেও শুনা যায়। সরকারী একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটিও নানা অযুহাতে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের সেবা নিতে গিয়ে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে রোগীদের।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. জাকির হোসেন জানান, স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার নিয়ে তাদের প্রতিদিন শত শত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। ডাক্তারসহ জনবল সংকটের কথা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এক্স-রে মেশিন চালানোর অপারেটর না থাকায় চিকিৎসা সেবায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বলেও তিনি জানান।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর