ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে কৃষকের পাকা ধান ঘরে তুলার স্বপ্ন হঠাৎ করেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষকের স্বপ্ন ম্লান করে দিয়েছে অসময়ের শিলাবৃষ্টি। কৃষক যখন পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন ঠিক তখনই শিলা বৃষ্টিতে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। পাশাপাশি গাছপালা ও ঘরবাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ভলাকুট ইউনিয়নে প্রায় ২১৫০ হেক্টর জমিতে এবছর বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭শত হেক্টর জমিতে ব্রিআর-২৮ চাষ করা হয়েছিল। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এসকল জমির প্রায় ৯৯শতাংশ পাকা ধান জড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন ভরাকুট বøকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল হক।
কৃষক নোয়াব খান জানান, আমি কৃষি ব্যাংক থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ আনছি। সে টাকা দিয়া ১২ কানি (বিঘা) ব্রিআর-২৮ ধান করছিলাম। কিন্তু আমার সব শেষ হইয়া হেছেগা। অহন কেমনে ছেলেমেয়ে লইয়া বাচুম।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ব্লাকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদ জানান, সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর, টেকানগন, মন্নরপুর, কামারগাঁয়ের বেশির ভাগ গ্রামের পাকা ধান শিলা বৃষ্টিতে ৯০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
গোয়ালনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আজহারুল বলেন, আমার ইউনিয়নের শতশত কৃষকের পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। যাদের ক্ষতি হয়েছে তারা দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলয়া এবছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির পাকা ধানের ব্যাপক ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চিত্র জানতে আমরা চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার