কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষসহ ১১৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো দালালকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফের হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালরমুখ এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ১১৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, উদ্ধারকৃতরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ২৬ জন শিশু, ৩৯ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শিশু, নারী ও পুরুষকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে পাহাড়ি ঢালায় জড়ো করা হয়েছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালারমুখ এলাকায় অভিযানে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ২৬ শিশু, ৩৯ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে স্বীকার করেছে।
উদ্ধার রোহিঙ্গারা বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে আগাম নিয়েছেন। গভীর সাগরে থাকা বড় ট্রলারে তুলে দেওয়ার কথা বলে সবাইকে পাহাড়ী ঢালারমুখ এলাকায় জড়ো করা হয়েছিল।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তা ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উদ্ধার করা এসব রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা করতে তাদের পাহাড়ে এনে জড়ো করা হয়েছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দালাল কারা তা চিহ্নিত করা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের কয়েক দিনে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে এখন পর্যন্ত ১২টি অভিযানে ১৪৭ জন নারী, ১০৪ জন পুরুষ ও ৬৯ জন শিশুসহ মোট ৩২০ রোহিঙ্গা ও ২ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে। এসব ঘটনায় ১৩ জন দালালকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল