পাহাড়ে চাষ হচ্ছে ছোট জাতের চাইনিজ কমলায়। পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত বারি কমলা-২ এখন জেলার বিভিন্ন বাগানে শোভা পাচ্ছে। খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু ছোট জাতের এই বারি কমলা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এখানকার পাহাড়ের বাগানীদের।
আম ও লিচুসহ নানান জাতের ফল আর ফসলে দেশজুড়ে সমাদৃত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। এ জেলার নতুন সম্ভবনা ছোট জাতের চাইনিজ কমলা। জেলার বিভিন্ন বাগান জুড়ে সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ রঙের ছোট ছোট কমলা ঝুলছে সর্বত্র।
দেশ জুড়ে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং পুষ্টিগুণের কারণে বাংলাদেশে এ জাতের কমলা চাষ নিয়ে গবেষণা শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। ২০১১ সালে প্রথম খাগড়াছড়ির পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কয়েকটি বাগানে গবেষণামূলকভাবে বারি কমলা-২ এর চাষ শুরু করা হয়।
পাহাড়ের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ায় কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে আশানুরূপ ছোট জাতের কমলার ফলন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। আর তাই ছোট জাতের কমলার চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিচ্ছে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। খেতে সুস্বাদু ও লাভজনক হওয়ায় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে চারা সংগ্রহ করে নতুন নতুন বাগান সৃজন করছে স্থানীয় বাগানীরা। স্থানীয় বাগানীরা জানান, এই কমলা চাষ খরচ কম ও ভালো ফলন হওয়ায় আমরা লাভবান হতে পারি।
পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ি মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী চাইনিজ কমলা বারি-২, সম্প্রসারিত হলে পাহাড়ের বারি কমলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব। আরো জানান বিদেশী ফলের আমদানী নির্ভরতা কমাতে কমলার মতো অন্যান্য ফলের জাত উদ্ভাবনে ও দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও গতিশীল করার গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বর্তমানে এই কমলার জাত তিন পার্বত্য জেলায় চাষ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর