জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে আড়াই বছর ধরে ধর্রণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ফলে ওই নারীর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু ধর্ষক ওই নারীকে স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে মকবুল হোসেন (৩৩) নামে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় আভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত নারী।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার নামাপাড়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে সিএনজি চালক মকবুল হোসেন পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার খোশালপুর গ্রামের এক নারীকে(২৬) মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। প্রেমের এক পর্যায়ে মকবুল হোসেন ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। ভাড়া বাসায় কয়েক মাস তাকে ধর্ষণ করেন। কৌশলে ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে ধর্ষন করা হয়। ঢাকায় দেড় বছর থাকার পর গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নারী। গর্ভবতী হওয়ায় মকবুল হোসেনের নিজ বাড়ি নামাপাড়ায় নিয়ে আসেন ওই নারীকে। পরে সেখানেই একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। সুমাইয়া নামে শিশুটির বয়স এখন ১১ মাস। সন্তান হওয়ার পরও অসংখ্য বার ধর্ষণ করা হয় তাকে। তিন মাস আগে মকবুল হোসেন এই নারী ও তার শিশু কন্যাকে অস্বীকার করে এবং টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার চাইলেও কোন সমাধান পায়নি ওই নির্যাতিতা নারী। অবশেষে স্বামীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবিতে মঙ্গলবার মকবুল হোসেনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হযরত আলী জানান, ওই নারী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার