নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ধানের আড়তগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ধান বেচাকেনা। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন ব্যবসায়ী এবং মিলাররা।
এদিকে, গত ২০ নভেম্বর থেকে সরকারি গুদামে ধান ক্রয়ের কথা থাকলেও তালিকা তৈরির অযুহাতে ধান কেনা কার্যক্রম নেত্রকোনা জেলায় এখনও শুরুই হয়নি।
আর সরকারি ধান কেনা কার্যক্রম শুরু হলেও তা স্পল্প সংখ্যক প্রভাবশালী কৃষকদের আওতায় থাকায় সব কৃষক গুদামে চাল দিতে পারবেন না। বাধ্য হয়েই তাদেরকে কম দরেই বেচে দিতে হবে কষ্টের ফসল। এছাড়া, এমন অনেক কৃষক রয়েছেন, যারা সরকারি গুদামের কথা জানেনই না।
জেলার পাহাড়ি অঞ্চল দূর্গাপুর ঘুরে দেখা গেছে, কোন রকম দামেই কৃষকরা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। ছয়শ’ থেকে সাতশ’ টাকা মণ দরে, যা সরকারি দামের তুলনায় অনেক কম।
এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নাম মাত্র মূল্যে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকদের ধান। এই মূল্যে কৃষকরা কোন রকমে চললেও ঋণের বোঝা কমাতে তারা মাঠ থেকে ধান তোলার সাথে সাথেই বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেক ফলানো কষ্টের এই ফসল।
অনেক ফরিয়া ব্যবসায়ী যারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাঠ থেকেই ধান কিনে আনেন তারাও মণ প্রতি ৫০ টাকার মতো লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন বলে জানান রবিউল নামক এক ফরিয়া।
এদিকে, ব্যবাসীরা বলছেন তারা ধানের আদ্রতা দেখেই দাম দিচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) সালমা আক্তার বলেছেন, তারা কৃষকদের তালিকা করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মনিটরিং থাকবে, যাতে প্রকৃত কৃষক সরকারি গুদামে ধান দিতে পারেন।
অন্যদিকে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের খাদ্য কর্মকর্তা সুরাইয়া খাতুন জানান, সরকার অ্যাপসের মাধ্যমে যে উদ্যোগটি নিয়েছেন, সেটি ১৬টি জেলার জন্য। যদি কার্যকর হয় তাহলে পরবর্তীতে নেত্রকোনাতেও চালু হতে পারে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে লটারিতে এই ধান নেওয়া হবে। এখন যে চাষীরা ধান দেবেন পরবর্তীতে অন্য চাষীদের থেকে নেওয়া হবে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে অধিকাংশ কৃষকদের সরকারি গুদামের আওতায় আনা যাবে।
এছাড়া, ধান নিতে দেরি হওয়ার বিষয়ে বলেন, এবার যেহেতু কৃষি অফিস তালিকা দিচ্ছে সে কারণে গুছিয়ে নিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম