গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবির প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে স্কুলছাত্রী।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নয়ানগর পূর্বপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে স্থানীয়রা বালু তোলার কার্গোতে দঁড়ি বেঁধে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ তিথী রাণী সূত্রধর (১০) ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের মৃত মতি লাল চন্দ্রধরের একমাত্র মেয়ে। তিথী ময়মনসিংহের ১৩৮ নম্বর নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডেও সদস্য বিল্লাল হোসেন শেখ জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার মঠখলা এলাকার বংশী দাসের আশ্রমে অন্নপ্রাশন (মুখে ভাত) অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই স্থানে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানটি গাজীপুরের কাপাসিয়া ও ময়মনসিংহের পাগলা থানার শেষ সীমানায় অবস্থিত।
এ ঘটনায় আহত তিনজন ময়মনসিংহ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তারা হলো-মিতালী রাণী সূত্রধর, তার স্বামী বিশ্বজিৎ চন্দ্র সূত্রধর ও তাদের ৬ মাস বয়সী শ্রাবণ চন্দ্র সূত্রধর। মূলত শ্রাবনের অন্নপ্রাশন (মুখে ভাত) অনুষ্ঠান থেকেই তারা ফিরছিল।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কাপাসিয়া থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। তারা স্থানীয়দের সহযোগীতায় নিখোঁজ তিথীর লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
রবিবার দিবাগত রাতে শীতলক্ষ্যার ঠান্ডা পানি ও ঘুটঘুটে অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারেনি। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলে। রাত ৮টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিথীর কোন খোঁজ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ তিথীর ভাই সৌরভ চন্দ্র সূত্রধর জানান, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় মিলিয়ে ২১ জন আশ্রম থেকে ট্রলারে বাড়ি ফিরছিল। ঘটনাস্থলে বালুবাহী একটি কার্গোর সঙ্গে ট্রলারটির ধাক্কা লাগে। এতে মুহূর্তেই ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সবাই সাঁতরে পাড়ে উঠলেও এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তিথীর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল