মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. শরীফুল ইসলাম। এলাকার অসহায়দের সহায় ছিলেন তিনি। কিন্তু মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অসময়ে সেই মানুষটি চলে যাওয়ায় এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুর নামক স্থানে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডা. শরীফুল ইসলাম ও পরিবারের ৩ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ডা. শরীফুল ইসলামের স্ত্রী রিমি আক্তার। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, আলহাজ্ব ডা. শরীফুল ইসলাম (৪০), তার মেয়ে তাবাচ্ছুম (৮), ভাগ্নি তানজিলা (১৮), শ্যালিকা তাকিয়া আক্তার (১৩), ডা. শরিফুলের বন্ধু ঢাকা হেডকোয়ার্টারে কর্মরত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. ফারুক (৩৫) ও মাইক্রোবাসের চালক নাহিদ (২৬)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডা. শরীফুল ইসলাম পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন। পাশাপাশি বোয়ালমারী চৌরাস্তা সংলগ্ন শরীফ হার্ডওয়ার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। এছাড়া একটি কিন্ডার গার্টেন ও মাদরাসা রয়েছে। তার রোজগারের বেশিরভাগ অর্থ তিনি মানবসেবায় দান করতেন। ডা. শরীফুল ইসলামের জন্মস্থান মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার তেলিপুকুর গ্রামে। ১৭ বছর আগে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আসেন। পরে পৌরসদরের ছোলনা গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
দুপুর ১২টার দিকে ডা. শরীফুলের মরদেহ পৌরসদরের ছোলনা গ্রামের উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর বাড়িতে নেয়া হয়। তাকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে উপস্থিত সকলে।
সোমবার বাদ মাগরিব বোয়ালমারী পৌরসদরের ছোলনা গোরস্থান মাদরাসা মাঠে ডা. শরীফুলের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সোমবার রাতেই ছোলনা কবরস্থানে তার ও তার মেয়ের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল