৬টায় ১ কেজি হয় বারি পিয়াজ-৫। এর ব্যাপক চাষাবাদ সম্ভব হলে তা দেশের পিয়াজ সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারে। এমনটাই জানালেন উদ্ভাবক ড. মো: মহব্বত উল্লাহ। গতকাল শনিবার খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এ জাতের পিয়াজ চাষাবাদে কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
মসলা প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর উদ্ভাবিত পাহাড়ি এলাকায় গ্রীষ্মকালীন বারি পিয়াজ-৫ চাষের উপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ে ড. মো: মহব্বত উল্লাহর উদ্ভাবিত বারি পিয়াজ-৫ এর দেশের পিয়াজ সংকটের সময়ে একটি যুগোপযোগী কৃষি পণ্যের উদ্ভাবন। বড় আকারের এ পিয়াজ পাহাড়ের সবখানে ছড়িয়ে দিতে উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাবে। রাবার বাগানের বহু জায়গা এখনো খালি রয়েছে। এসব জায়গায়ও আমরা এ বারি পিয়াজ-৫ চাষাবাদ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিউট এর মহাপরিচালক ড. আবদুল ওহাব। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বারি পিয়াজ-৫ চাষের মাঠ সরজমিনে ঘুরে দেখেন। এ সময় পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, রামগড়ের বৈজ্ঞানিক কৃষি কর্মকর্তা ড. ফিরোজসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বারি পিয়াজ-৫ এর উদ্ভাবক ড.মো.মহব্বত উল্লাহ বলেন, এ পিয়াজ থেকে ৬ টায় ১ কেজি হয়। ব্যাপক আকারে চাষাবাদ করা হলে দেশের পিয়াজ সংকট মোকাবেলায় বড় ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা