করোনাভাইরাস রোধে দেশের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো এখনো খোলা রয়েছে। এতে পর্যটন নগরী পাহাড়ী জেলা বান্দরবানে প্রতিদিন আসছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক, নীলগিরি, স্বর্ণজাদিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পর্টগুলোতে বিচরণ করছে পর্যটকেরা। স্থানীয় প্রশাসনের কোন প্রকার বিধিনিষেধ না’থাকায় পর্যটকেরা বান্দরবানে প্রবেশ করছে ও পর্যটন স্পটসহ জেলা-উপজেলা শহরের অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিনে পর্যটন স্পটগুলোতে পরির্দশন করে দেখা যায়, জেলা প্রশাসন পরিচালিত মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক ও নীলগিরি, বৌদ্ধ ধর্মীয়গুরু উচহ্লা ভান্তে পরিচালিত স্বর্ণজদিসহ পর্যটন স্পর্টগুলো পর্যটকদের জন্য এখনো খোলা রয়েছে। ভ্রমণকৃত পর্যটকদের কাছে এসব পর্যটন স্পটে প্রবেশ ফিও নেয়া হচ্ছে। ফলে পর্যটকেরাও কোন বাধানিষেধ ছাড়াই পর্যটন স্পর্টগুলোতে প্রবেশ করছে এবং বিচরণ করছেন। প্রতিদিন শত শত পর্যটক অবাধে জেলা শহরের প্রবেশ ও চলাফেরায় করোনাভাইরাস ছড়ানো আশঙ্কায় বান্দরবানবাসী মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পর্যটন স্পট লীলাচল টিকেট কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা জানান, আগের তুলনায় পর্যটকের আগমনের হার অনেক কমে গেছে। মঙ্গলবার
১ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে। বুধবারে মাত্র ৩০০/৪০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে।
পর্যটকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, সরকারী বিধিনিষেধের বিষয়টি তারা জানেন না। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অবসর সময়টি তারা বান্দরবানের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করছেন।
অনেক পর্যটক বলেন, বান্দরবানে প্রাকৃতিক এলাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম দেশের বিভাগীর শহরগুলো চেয়ে লোক সমাগম এখানে কম। তাই এখানে রোগ আক্রান্তের আশঙ্কাও কম।
এদিকে করোনা আক্রান্ত কোন দেশের বিদেশী বা দেশী প্রবাসীদের আগমন ঘটছে কিনা তা নিশ্চিতে জন্য বান্দরবান প্রবেশের প্রধান সড়কের রেইছা চেকপোস্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি যানবাহণে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, বান্দরবানে বর্তমানে পর্যটকের আগমন অনেক কমে গেছে। প্রশাসন সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। যদি পর্যটকদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে তখন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পর্যটনকে কেন্দ্রে করে গড়ে উঠা হোটেল-মোটেল, পরিবহণ খাতে জড়িতরা বিপাকে পড়েছে। এসব কর্মচারী, গাড়ি চালক, হেলপাররা অলস সময় কাটাচ্ছে। মন্দাভাব দেখা দিয়েছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন খাবার দোকানসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল কিছুতে।
এদিকে করোনা ভাইরাস রোধে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞাসহ পর্যটন স্পট ও হোটেল-মোটেলগুলো বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বান্দরবানের সচেতন মহল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা