বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসাব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে। অন্যদিকে বাঙালি নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে এবার বাঙালি নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পরা সারিয়াকান্দি উপজেলার ৪ শতাধিক বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এ ছাড়াও উপজেলার বহুলাডাঙা কমিউনিটি ক্লিনিক, আাউচারপাড়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাকালিহাতা জামে মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার বিকেল ৬টায় হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু পানির উচ্চতা আগের দিনের চেয়ে ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে।তিনি জানান, বাঙালি নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে এ নদীর পানি ১৫ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু তা ক্রমাগত বাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন