বগুড়ায় এলপিজি ডিপো চালুসহ বিস্ফোরক লাইন্সেসবিহীন অবৈধ এলপিজি ব্যবসায়ীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এলপি গ্যাস সোসাইটির নেতাকর্মীদের পক্ষে স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের হাতে পৌঁছে দেন সংগঠনের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম খাঁন ও মুরাদ মিঞা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তরাঞ্চলের ভোক্তা ও ডিলারদের সুবিধার জন্য ২০০১ সালে ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন চেয়ারম্যান সর্বপ্রথম বগুড়া জেলার বারবাকপুরে এলপিজি ডিপো উদ্বোধন করেন। এরপর সেখান থেকে বগুড়ার ফুলদিঘীতে ডিপোটি স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে বনানীর সুজাবাদ এলাকায় পুনরায় এলপিজি ডিপো চালু করে উত্তরাঞ্চলের ডিলারদের মাঝে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায় প্রায় ৭৫০ জন ডিলারের মাঝে এলপিজি সরবরাহ করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি।
ত্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডারের কারণে ২০ আগস্ট ২০১৬ সালে সুজাবাদ এলাকায় অবস্থিত এলপিজি ডিপোতে অগ্নিপাতের সূত্রপাত ঘটে। যার কারণে ডিপোর সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বগুড়ায় ডিপো চালু না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের ডিলাররা চরম হতাশায় ভুগছেন।
আমরা বাংলাদেশ এলপি গ্যাস সোসাইটি’র পক্ষ থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যানের কাছে বগুড়ায় পুনরায় এলপিজি ডিপো দ্রুত চালু করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম