২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৩৫

দিনাজপুরে খড়ের দাম বাড়ায় বিপাকে খামারি ও প্রান্তিক চাষীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে খড়ের দাম বাড়ায় 
বিপাকে খামারি ও প্রান্তিক চাষীরা

টানা বর্ষণ ও বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ায় ওইসব অঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়ায় দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খড় ক্রয় নিয়ে যাচ্ছে ওইসব অঞ্চলে। এতে করে দিনাজপুরে চাহিদার তুলনায় খড়ের সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে। আর গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন গো-খামারি ও প্রান্তিক চাষীরা। 

কিছুদিন আগেও যেখানে খড়ের প্রতি আটি (২০ পিস) খড়ের দাম ১০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে প্রকারভেদে ২৫০-৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খড়ের ১ পোনের (৮০পিস) দাম ১ হাজার-১২শ টাকা। বর্তমানে ১ আটি খড়ের দাম ১৩-১৫ টাকা। 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, হাকিমপুরের গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানের খড় ব্যবসায়ীরা এসে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের নিকট থেকে খড়ের পালা ক্রয় করে নিজ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন খড় ব্যবসায়ীরা। এতে করে খড়ের চাহিদা বাড়ায় আগের তুলনায় খড়ের দাম বেড়েছে। 

আলিহাট গ্রামের কৃষক মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার ২০ বিঘার মতো আবাদি জমি রয়েছে। গত আমন মৌসুমে যে খড় পেয়েছি তা দিয়ে বাড়ির সামনে ৫টি খড়ের পালা দিয়েছিলাম। নিজের যে গরু রয়েছে, তাতে তিনটি খড়ের পালা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাই প্রতিবছরই বাড়তি খড় বিক্রি করে থাকি, তবে এবারে অন্যান্য বছরের চেয়ে খড়ের প্রচুর চাহিদা। যার কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিক্রি করে খড়ের দাম বেশ ভালো পাওয়া গেছে।

বীরগঞ্জের সুজালপুরের আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার দুটি গরু রয়েছে। কিন্তু গরুকে খড় খাওয়াতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন খড় লাগে দুই আটি। দাম পড়ে ৪শ-৫শ টাকা। গরুর খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন খড়ের প্রয়োজন হয়। আগামী ধান না উঠা পর্যন্ত খড়ের দাম কমার লক্ষন নেই। চাহিদার তুলনায় খড় যেমন কম পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি দামও বেশি। তাই গরু পালন করতে দ্বিগুন খাবার খরচ বেড়েছে। অনেক প্রান্তিক চাষী গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। 

বীরগঞ্জ বাজারের খড় ব্যবসায়ী বিরেন রায় বলেন, আমি সারা বছরই খড়, কাঁঠালের পাতা ও ন্যাপিয়ার ঘাস বিক্রি করে থাকি। তবে এবারে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ার কারণে বিশেষ করে পাশের গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ ওই সব অঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারণে ওইসব এলাকায় গো-খাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার কারণে ওই সব এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে খড় ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। কয়েকদিন আগেও যে খড়ের আটি বিক্রি করতাম ১০০ টাকা করে এখন তা বেড়ে ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে যার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর