মুজিববর্ষ উপলক্ষে লাল সবুজে স্বপ্ন বুনবে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তা, বৃদ্ধ, বিধবা, ভিক্ষুক, অতি দরিদ্রসহ ২৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার হিসাবে তাদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ‘স্বপ্ননীড়’। আর এতে বদলে যাবে ওইসব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ভাগ্যবদল।
সরকারি খাস জমিতে এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এদিকে এসব বাড়ি পাওয়ার আনন্দে নতুন স্বপ্নে বিভোর গৃহহীন পরিবারগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাশিদ কায়সার রিয়াদের তত্ত্বাবধানে একসাথে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৭টি স্থানে ২৬২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিটি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য থাকছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই লালটিনের বাড়ি। এসব পরিবারের জন্য পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ, পানি, খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও করা হবে।
মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও কোনো মানুষ যেন বাসগৃহ ছাড়া না থাকে এটাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। প্রান্তিক বিভিন্ন জনগোষ্টির নিরাপত্তার দেয়ার লক্ষেই গ্রহণ করা হয়েছে এই প্রকল্প।
জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০-২১ অর্থ বছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ভূমি ও গৃহহীনদের মর্যাদার সাথে বসবাসের লক্ষে সরকারের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমিতে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। পার্বতীপুরের ১০টি ইউনিয়নের বেলাইচন্ডি, মন্মথপুর, রামপুর, পলাশবাড়ী, চন্ডিপুর, মোমিনপুর, মোস্তফাপুর, হাবড়া, হামিদপুর ও হরিরামপুরসহ ১৭টি স্থানে ২৬২ বাড়ি নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রতি পরিবারের জন্য দুই শতক জমি। তার ওপর ২টি রঙ্গিন টিনসহ ইটের ঘর, ২টি প্লান্ট শীট জানালা, দরজা ও পাকা মেঝে। বারান্দা, রান্না ঘর ও আলাদা স্থানে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। আর এই প্রতি বাসগৃহে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাশিদ কায়সার রিয়াদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে উপকারভোগীদের বুঝে দেয়া হবে মর্মে আশা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন