বগুড়ার ধুনট পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জলমহাল ইজারার দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার অলোয়া পীরহাটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম ধুনট পৌর এলাকার সদরপাড়ার শাহজাহান আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া মৌজায় ১৪৩৯ দাগের ৫ দশমিক ৯৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জলাশয় প্রতি তিন বছর পরপর উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বাংলা ১৪২৮ থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ওই জলমহালটি ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে অলোয়া পীরহাটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে টেন্ডার বাক্সে দরপত্র ফেলার চেষ্টা করেন। এসময় আনোয়ার হোসেনের হাত থেকে দরপত্র ও ১৮ হাজার টাকার বিডি (অগ্রণী ব্যাংক বিডি নম্বর ২৭৪২২৬৪) ছিনিয়ে নেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। এ কারণে ওই বাক্সে দরপত্র জমা দিতে পারেননি আনোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদের বাক্সে দরপত্র জমা দেওয়ার আগেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বিডিসহ দরপত্রটি ছিনিয়ে নেয়। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে একটি পক্ষের হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার ধুনট পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ওই সময় ধুনট শহরের বাইরে অবস্থান করেছি। তাই এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই