করোনায় মূলধন হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে করোনা ও লকডাউনের কারণে বেঁচাকেনা না থাকায় জমানো টাকায় চলছে সংসার।
ময়মনসিংহের ফুলপুর আঞ্জুমান সুপার মার্কেটের পোশাক দোকানী মো. শাহজাহান বলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকলেও পারিবারিক খরচ তো আর বন্ধ থাকে না। সংসার চালাতে গিয়ে পুঁজি ভেঙে ভেঙে খাচ্ছি। মূলধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই করার নেই।
উপজেলার কাঁকড়ার চর গ্রামের বাসিন্দা ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্রিজ মোড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, 'আজ সারাদিনে পলায়া পলায়া মাত্র ১০০ টেহা বিহি বেচ্চি। পুলিশে দৌঁড়ান দেয়। হেইন্দা বাড়িত থাইক্যা ফোনে হাউমাউ করতাছে বাজার পাডাইতাম। ফরতেক দিন দুই বাচ্চাসহ আমার কম কইরা অইলেও ২০০ টেহা খরচ আছে। বাহি টেহা কই ফায়াম? মূলধন থাইক্যা খরচ করতাছি। বর্তমানে তিন লাখ টেহা লসে আছি। অহন পথের ভিখারী অওনের ভাউ অইয়া গেছে।'
একই রকম অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পাইন্নৈর গ্রামের শাকিল, কাকনী গ্রামের রুবেল, কাতুলি গ্রামের রিপন ও নকলার নবী হোসেন। তারা জীবন বিধ্বংসী করোনা থেকে মুক্তি চায় ও সরকারের সহযোগিতা চায়। জানতে চাইলে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কোন মেসেজ পাইনি। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কি করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল