কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার থেকে করোনা'র টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম দফায় ৫৫ বছরের বেশি বয়সী সাড়ে ৪৮ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান টিকাদান কর্মসূচির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্প গুলোতে সপ্তাহব্যাপী টিকাদান এ কর্মসূচি চলবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দফায় ৫৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সাড়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে যারা টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে, বিশেষ করে মাঝি, মসজিদের ইমাম ও স্বেচ্ছাসেবকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এদের সংখ্যাও প্রায় ১৮ হাজার। ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫৬টি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে টিকাদানের জন্য ১৮৬টি টিমকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা বলেন, আরআরআরসি অফিসের হিসাব অনুযায়ী নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সাড়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা আছেন, যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি। প্রথম ধাপে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় উপজেলার ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আজ করোনা”র টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ৩টা পর্যন্ত চলা এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও রোগ নিয়ন্ত্রক ডাঃ প্রণয় রুদ্র।
এ সময় সকল ক্যাম্পে ১২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫৫ বছরের উর্ধ্বে ৭ হাজার ৯০০ জন পুরুষ মহিলাকে ওনাদের নিজ নিজ আইডি কার্ড দেখেই সাতদিনব্যাপী এ টিকা দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। তার মধ্যে পুরুষ ৪২৯৯ আর মহিলা ৩৬০১ জন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল উক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা'র টিকা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এ কার্যক্রম সপ্তাহব্যাপী চলবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ