উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চরাঞ্চলসহ তীরবর্তী এলাকার ৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম নোহালী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারিভাবে ১০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬ টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিযে প্রবাহিত হয়েছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৪২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চরইচলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর, বিনবিনা এলাকায় দুই হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তার ইউনয়নে এক হাজার ৩০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তার ইউনিয়নের চারটি চরে এক হাজার এবং নোহালী ইউনিয়নে ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, কয়েকটি চরের বেশকিছু পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তাদের জন্য কোলকোন্দ ইউনিয়নে ৬ মেট্রিকটন, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিন মেট্রিকটন ও নোহালী ইউনিয়নে এক মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন