তিস্তার পানি বাড়া-কমার সাথে নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপারের মানুষজন। গত এক মাসে তিস্তার ভাঙন কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরের মানচিত্র পাল্টে গেছে। ওই চরগ্রামে বসবাসরত তিন শতাধিক পরিবার আবাদি জমি ও গাছপালাসহ বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।
এছাড়া সেখানকার প্রায় এক হাজার পরিবারসহ মটুকপুর, চিলাখাল, সাউদপাড়া, কুড়িবিশ্বা, ইচলী, পাইকান হাজীপাড়া, মিনার বাজার, ছালাপাক, মর্নেয়া চরসহ নিম্ন এলাকার প্রায় চার হাজার পরিবার গত দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় বিনবিনার পাকা রাস্তাসহ স্বেচ্ছাশ্রমের নির্মিত চার কিলোমিটার বেড়ি বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায তিস্তার পানি ঢুকে গ্রামটির প্রায় এক হাজার পরিবার ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে।
কোলকোন্দ ইউনিয়েনর চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, এবার তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের বিনবিনা চরের তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে আছে। এসব মানুষ ত্রাণ নয়, ভাঙন রোধের ভাল পদক্ষেপ চায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম জানান, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে টিনসহ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার