৩ জুলাই, ২০২২ ১৬:৪০

পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলি গ্রামে বাবার বাড়িতে প্রতিবেশীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (২০) এক গৃহবধূ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ঘরে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ ও মারধর করেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিবেশী আকব্বার কাজীর ছেলে বারেক কাজী (৪০)।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বিয়ের আগে থেকেই বিরক্ত করে আসছে বারেক কাজী তাকে। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে লাইলি বেগম প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে বারেক কাজী ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। বাথরুম থেকে বের হয়ে লাইলি বেগম ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে মেয়েকে ডাক দিয়ে সাড়া পায়নি। 

ঘরের পেছনে জানালা দিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ের উপর নির্যাতন চলছে। বাহির থেকে দরজা আটকে দিয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়। স্থানীয়রা ৯৯৯- এ ফোন দিলে পুলিশ আসার আগেই নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা লোকজন নিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর করে ধর্ষক বারেক মোল্লাকে নিয়ে যায়। 

পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে গৃহবধূকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই বরগুনা হাসপাতালে পাঠায়। লাইলি বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বারেক কাজীর স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। এলাকায় তারা প্রভাবশালী। আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। এখন কি হবে, জামাই কি মেয়েকে মেনে নেবে? বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাতেই পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ধর্ষক ও ইউপি সদস্যসহ যারা জড়িত মামলা নিয়ে দ্রুত গ্রেফতারের। তালতলী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইউপি সদস্যর দায়িত্ব ছিল আসামিকে পুলিশের কাছে দেওয়া। কিন্তু তিনি আসামি ছিনিয়ে নিয়ে অপরাধ করেছেন। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর