দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে সিএনজি চালকরা। গ্যাসে চললেও বাসের ভাড়া বাড়ার আগেই তারা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বেশি বিপাকে শিক্ষার্থীরা।
জেলা শহরের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে। আাগামী মাসে জেলা সিএনজি অটো রিক্সা শ্রমিক সমিতির নির্বাচন উপলেক্ষে গত ১৩ জুলাই কমিটি বাতিল করে দেওয়ায় অপ্রতিরোধ্য সিএনজি চালকরা। গ্যাসের দাম না বাড়লেও সুযোগ নিচ্ছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, ‘আগামী মাসে ভোট তাই সিএনজি চালকরা এই সুযোগ নিয়েছে। কারণ এখন তাদেরকে যে ই ভাড়া নিয়ে কিছু বলবে তাকেই তারা ভোট দেবে না। এমতাবস্তায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না’।
আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক নেতা সাদেক মিয়া জানান, ‘নেত্রকোনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত গেইটলক ছিলো ৩৫৮ টাকা। আমরা নিতাম ৩০০ টাকা। এখন রবিবার থেকে ওই ৩৫৮ টাকার সাথে প্রতি মাইলে ৪০ পয়সা করে বাড়লেও আমরা ৩৫০ টাকাই নিচ্ছি। লোকাল বাসেও একই অবস্থা। রেইট থেকে কমই নেয়া হচ্ছে। আমাদের মালিক পক্ষের সিদ্ধান্ত হলে পরে বাড়ানোর বিষয়টি জানা যাবে’।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতিকে অনুরোধ করেছিলাম দুয়েকদিন ভাড়া না বাড়ালে কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা একসাথে বসে সাধারণ যাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা করি করবো। এতে তারাও রাজি হয়েছেন। পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত হবে’।
কিন্তু সিএনজি চালকরা যদি কোনো রকম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে এ ব্যাপারে অবশ্যই কঠোর ভূমিকা নেয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন তেলের পাম্পে মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসা আরোহীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। তারা বলছেন, ‘আমাদের অভিযোগ করার জায়গা নেই’।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা