ঘুষ ছাড়া চাকুরি পেয়ে চোখমুখে আনন্দের কান্না। চাকরি প্রাপ্তদের সাথে কেঁদেছেন অভিভাবকরাও। বৃহস্পতিবার বিকালে চাকরির জন্য বাছাই হওয়া ৫২ জন প্রার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে ৫২ জনের মধ্যে স্বাস্থ্য ও গোয়েন্দা রিপোর্ট পাবার পর চূড়ান্ত নির্বাচিত হবেন ৪২ জন। শেরপুর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ১২০টাকা পে অর্ডার দিয়ে মেধা ও শারীরিক সক্ষমতাকে বিবেচনা করেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শেরপুর জেলায় কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। এ মাসের পাঁচ তারিখ ৪২টি পদের বিপরীতে ১৫শ নারী-পুরুষ চাকরি প্রার্থী লাইনে দাঁড়ায়। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে তিন শতাধিক জনকে লিখিত পরীক্ষায় ডাকা হয়। সেখান থেকে আটজন নারীসহ মোট ৫২ জন নির্বাচিত হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামন বলেছেন, টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হয় না-এমন অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে সরকার ও পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনায় কোনো রকম তদবীর, ঘুষ ছাড়াই প্রার্থীদের চাকরি হলো। কেউ তদবির করতে আসেনি। আর তদবির শোনাও হয়নি। গোয়েন্দারা এখনও খোঁজ নিচ্ছে। কোনো প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এতে জনগণের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল