সাভারে খুন হওয়া বস্তাবন্দী অজ্ঞাত এক নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় খুশি নামে (৩৫) বছর বয়সী এক নারীকে ছয়তলা ভবনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সিঁড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তির রুমে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে ওই নারীর চুল দেখতে পেয়ে পুলিশ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এতে তিনি হত্যাকাণ্ডের তথ্য স্বীকার করেন।পুলিশ আরও জানায়, হায়দার আলী ভাড়া করে ওই নারীকে নিজ রুমে আনেন অবৈধভাবে মেলামেশার জন্য। পরে মেলামেশার একপর্যায়ে ওই নারী বেশি টাকা দাবি করলে তিনি তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ সিঁড়ির নিচে ফেলে রাখেন। আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৩০মে দুই বছরের শিশু তাবাচ্ছুম আক্তার রাইশাকে অপহরণ করে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়া। পরে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে উদ্ধার করে। সেই সাথে অপরণকারী দম্পতি চাঁন মিয়া ও বৃষ্টিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ সুপার শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ তুলে দেন। আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চালঞ্চকর দুটি ঘটনার রহস্য দ্রুত উৎঘাটন করায় স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
.jpg?v=1713541318)
