কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি শুক্রবার সকাল থেকে ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তিস্তা নদীর পানি টানা ৭ দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন তা অনেক নিচ দিয়ে বইছে। অন্যান্য নদনদীর পানিও কমে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। যদিও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৫ সে.মি নিচ দিয়ে এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২১ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল গুলোতে পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমেনি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট সাথে গবাদি পশু খাদ্য সমস্যা। জেলা প্রশাসনের বন্যা ও ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলার ৫ হাজার ২৮০টি পরিবারের ২০হাজার ১৩৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফসল নিমজ্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৬৮ হেক্টর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে জেলা প্রশাসন শুরু থেকেই সহায়তা করা হচ্ছে। সকল উপজেলায় ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। এখনও চাল, শুকনো খাবার, নগদ টাকা মওজুদ রয়েছে। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।
এদিকে, জেলার চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ও শাখাহাতির চরে তীব্র নদী ভাঙনে গত দুইদিনে অর্ধশতাধিক বসতভিটা ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। এখানকার লোকজন বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী,রাজারহাটের নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি,আবাদি জমি,গো-চারণ ভূমিগুলো এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। তবে তিস্তা নদীতে নদী ভাঙন কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়ায় মানুষজন রয়েছে আতংকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নদ-নদীর পানি কমে এখন জেলার ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। তবে জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জিওব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম