কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অবস্থিত মুজিব কিল্লার একটিতে নির্মাণ কাজ চলছে। সদর বড়ঘোপের আজম কলোনি সংলগ্ন ০.৮১ একর জমিতে ওই মুজিব কিল্লায় সাইক্লোন শেল্টার, গভীর নলকূপ, আরসিসি রাস্তা ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।
এছাড়াও উপজেলার ৫টি মুজিব কিল্লা বেদখলে রয়েছে। এগুলো দক্ষিণ ধূরং ইউনিয়নের ধূরং বাজার সংলগ্ন ৩.২৮ একর জমিতে একটি, দরবার সংলগ্ন ২.৮৭ একর জমিতে একটি, লেমশীখালী ইউনিয়নে শাহাজিরপাড়া ৬.২৭ একর জমিতে একটি, ধুপিপাড়ায় ৪.০৩ একর জমিতে একটি এবং কৈয়ারবিলে কিল্লাপাড়ায় ২.৮০ একর জমিতে একটি রয়েছে। তবে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে খুদিয়ারটেকের মুজিব কিল্লাটি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা যায়, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাপ্রবণ থেকে রক্ষার্থে কুতুবদিয়ায় সাতটি মাটির কিল্লা নির্মাণ করেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামেই পরিচিত পায়। এ অঞ্চলের মানুষ এককথায় মুজিব কিল্লা হিসেবে চিনেন। তবে কুতুবদিয়ার সাতটি মুজিব কিল্লার মধ্যে পাঁচটি কিল্লা বেদখলে রয়েছে। দখলদাররা কিল্লার গাছ কেটে গড়ে তুলেছেন বসতঘর, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খামার। কেউ আবার মাটি সমান করে চাষাবাদ করছেন। শুধুমাত্র বড়ঘোপে অবস্থিত মুজিব কিল্লাটির নির্মাণাধীন কাজ চলছে। এটি ২ কোটি ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬ টাকার এ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের কাজটি দ্রুত শেষ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, সাগর বেষ্টিত কুতুবদিয়া দ্বীপে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সাইক্লোন শেল্টার ছিল না। তৎকালীন সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান দ্বীপবাসীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে এ কিল্লা গুলো তৈরি করে দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, দ্বীপের ছয়টি মুজিব কিল্লায় এ একটিতেই নির্মাণাধীন কাজ চলমান। তবে আরও ১টি অর্থাৎ লেমশীখালীতে অবস্থিত মুজিব কিল্লায় নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত