বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (বিআইটি) আদলে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে, যাতে অন্তত ২১ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল-ভোলা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করা হয়নি; বরং শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এনামুল হক ইরান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কাঠামো বাতিল করে বিআইটি মডেলে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠনের এক দফা দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে কলেজের সামনে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। কিন্তু দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল সড়ক অবরোধ না করে কর্মসূচি চালাতে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা সড়ক ছাড়েনি। পরে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে লাঠিচার্জের অভিযোগ সত্য নয়।’
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ লিটন রাব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) আজহারুল ইসলাম জানান, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আমরা আশাবাদী, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ