টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি হলেও ভারী বর্ষণে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু কিছু স্থানে বিপৎসীমা ছুই ছুই করছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
এদিকে গত ২/৩ দিনধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণে জেলার সদর উপজেলাসহ নাগরপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, বাসাইল ও মির্জাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড়ে বসবাস আব্দুল আলিম বলেন, একদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। অপরদিকে আকাশ থেকে অঝরে বৃষ্টির পানি পড়ছে। কোথাও বাহির হতে পারছি না। খেটে খাওয়া মানুষ আমরা। প্রতিনিয়ত কাজ না করলে সংসারের খরচ জোগাড় করা কষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় বর্তমানে কষ্টের দিন পার করছি।
শ্রমিক কুদ্দুছ মিয়া বলেন, দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি থাকায় কোন কাজ পাচ্ছি না। বৃষ্টি না থাকলে প্রতিদিন সাড়ে ছয়শত টাকা রোজ কাজ করতাম।
অটোরিকশা চালক শামীম মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য ঠিক মতো গাড়ি চালাতে পারছি না। বৃষ্টির জন্য লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না। বৃষ্টি থাকায় ইনকাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। আর বৃষ্টি না থাকলে গাড়ি চালিয়ে এক হাজার টাকা আয় হয়। এতে করে অটোভাড়াও উঠাতে পারছি না। নিজের সংসার চালামু কেমনে। আর মালিককে ভাড়ার টাকা বা দিমু কোথা থেকে।
পানি উন্নয়ন বোডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, জেলায় সকল নদ নদীর পানি প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন আপাতত বন্যার কোন পূর্বাভাস নাই। তিনি আরো বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিন পানি বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএ