চার খালে অবৈধ দখল, দূষণের ফলে ডুবছে কুমিল্লা নগরী। টানা বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা। জলজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। তাই খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে ভরাট অংশ দ্রুত খননের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। স্থানীয় সূত্র জানায়, এখন বর্ষাকাল। টানা বৃষ্টি হলে কুমিল্লা নগরীর নিচু অংশসহ লাকসাম রোড, রেসকোর্স, ঈদগাহ রোড, চকবাজারসহ বিভিন্ন উঁচু এলাকাও ডুবে যায়। এর অধিকাংশ কারণ খাল ভরাট হয়ে যাওয়া। কোথাও খালকে আবর্জনা ফেলে ডাস্টবিন বানানো হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর পানি চারটি প্রধান খাল দিয়ে অপসারিত হয়। সেগুলো হচ্ছে, রেসকোর্স খাল, গুংগাইজুরী খাল, বিবির বাজার খাল ও ইপিজেডের দক্ষিণ অংশের খাল। এই খালগুলোসহ সংযুক্ত কিছু বড় ড্রেন রয়েছে। যেগুলোতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে নগরী জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই খাল ও ড্রেনের দৈর্ঘ্য ২৫ কলোমিটার। এগুলোর পাশে কোথাও স্থাপনা উঠেছে, কোথাও বাসার আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে। খাল ও ড্রেন সংস্কারে ৯ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ হাতে নেওয়া হবে।
কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বয়স ১৪ বছর। এর আগে ছিল প্রাচীন পৌরসভা। সব সময় যানজট আর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ লেগেই ছিল। বিভিন্ন সময় এগুলো নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির শীর্ষে থাকত। কিন্তু এসব সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান কখনো হয়নি। পরিকল্পিত খনন না করলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কখনো কমবে না। আমরা মনে করি, এই সমস্যাগুলো নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভুঁইয়া বলেন, এখন খালের কিছু অংশে সাময়িক সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এই বর্ষায় সাময়িক সংস্কারে কিছু সফলতা পাওয়া যাবে। পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কেটে যাবে। তার সুফল আগামী বর্ষায় পুরোপুরি পাওয়া যাবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, আমরা বিভিন্ন খালের গতিপথ পরিদর্শন করেছি। কোথাও স্থাপনা রয়েছে, কোথাও ভরাট করা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করছি। এদিকে খাল খননের কাজ শেষ হলে আশা করি জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেক কমে যাবে।