সাত বছরে শেষ হয়নি নগরীর চাঁদমারী খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। ফলে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রন ও কংকিটের ঢালাইয়ে তৈরি সেতু এখন বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় কষ্ট করে চলাচল করে মানুষ।
সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত মো. আজাদ জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরে শহররক্ষা বাঁধ দিয়ে চলাচলের জন্য চাঁদমারী খালের প্রবেশমুখে সেতুটি নির্মাণ করেন তারা। সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবীব কামালের সময় সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাধা দেন তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। কারণ সেতুর সংযোগ সড়কের পাশের জমির মালিক মেয়রের বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এ কারণে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করা হলেও বিল দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, সেতুটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ কষ্ট করে চলাচল করেন। কর্মকর্তারা আসেন যান। কিন্তু সড়ক করা হয়নি। আরেক বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, এক নেতার জমি রয়েছে। সেতুটি হলে তার সমস্যা হবে। তাই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। শুধু সংযোগ সড়কই নয়, কীর্তনখোলা নদীর বাঁধ করতে দেওয়া হয়নি। এ কারণে মানুষ সেতুটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর তীরে চাঁদমারী খালের ওপর সেতুটির উত্তর প্রান্ত দিয়ে ওঠার জন্য ফেলে রাখা হয়েছে একটি সিমেন্টের খুুঁটি। লোকজন ওই খুুঁটি দিয়ে সেতুতে উঠে স্টেডিয়াম কলোনিতে আসা-যাওয়া করেন।
বাসিন্দারা জানান, সেতুর ওপর দিয়ে যেতে সময় কম লাগে। তাই কষ্ট করে হলেও যাই। সংযোগ সড়কটি হলে যানবাহন এ পথে যাতায়াত করতে পারত। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, সংযোগ সড়কের কারণে সেতুর ব্যবহার হচ্ছে না। বিষয়টি আমি জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখব।