কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে ট্রমছম ব্রিজ। এই সড়কটি লাকসাম রোড নামে পরিচিত। এই সড়কে প্রতিদিন যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন নগরবাসী। যানজট এই রোডের নিত্য চিত্র হলেও হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কান্দিরপাড় থেকে টমছম ব্রিজ সড়কটির দুই পাশের ফুটপাতে ভাসমান দোকানে হাঁটাচলার অবস্থা নেই। রামঘাটলা, কুমিল্লা টাওয়ার আর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এলাকার যানজট পেরিয়ে এসে সালাউদ্দিন মোড়ে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে নগরবাসী। সদর হাসপাতাল সড়কের মুখে ফুটপাত দখল হয়ে আছে। এই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল।
কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মাউদ বলেন, টমছম ব্রিজ মোড়ে ড্রেনের ওপর গড়ে উঠেছে মসজিদ। সারা শহরের ময়লা-আবর্জনা প্রবাহের একমাত্র ড্রেনের মুখে মসজিদ থাকা ঠিক নয় বলে আলোচনা হয়েছিল। মসজিদটিকে স্থানান্তর করে বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহদাকারে মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে। এই স্থানটিতে পুলিশ বক্স ও যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা করলে যানজট কমে যাবে।
টমছম ব্রিজ থেকে ৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাখরাবাদ ও ইপিজেড সড়ক। এটি নগরীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। লাখো মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে সড়কের পাশে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ বন্ধ করা উচিত। আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, কান্দিরপাড় ও মনোহরপুর সড়কের অবৈধ দোকান সরানো হলেও লাকসাম রোডে সেই উদ্যোগ তেমন চোখে পড়ে না। এই সড়কে যানজটের কারণ অনুসন্ধান করে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সিএনজি অটো রিকশাচালক কামাল হোসেন বলেন, এই সড়কে দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকতে হয়। তাই যাত্রীও কমছে। অনেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় রামমালা কিংবা চর্থা হয়ে চলাচল করেন। যানজটের কারণে আমাদের সময় নষ্ট হচ্ছে; সঙ্গে ভাড়াও কমছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, টমছম ব্রিজের যানজটের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশাসক, প্রকৌশলীসহ আমরা বিভিন্ন সময় আলোচনা করেছি। তবে জমি অধিগ্রহণে বড় ধরনের বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। বরাদ্দ পেলে এটাও এক সময় বাস্তবায়িত হতে পারে।