বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডে তিন স্থানে দুই ব্রিজের মাঝে ফাঁকা স্থান মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোনো ধরনের সতর্কতা চিহ্ন না দেওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত দুই ব্রিজের মাঝে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, নগরীর কাশিপুর সুরভী পেট্রোল পাম্প থেকে আমতলা মোড় পর্যন্ত সড়ক চার লেন করা হয়েছে। এ কারণে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা বাজারের সামনে, ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি পোল ও সাগরদী ব্রিজের দুই পাশে আয়রন ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। কংক্রিটের ব্রিজের পাশে ফাঁকা রেখে আয়রন ব্রিজগুলো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ফাঁকা স্থানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়নি। দেওয়া হয়নি কোনো সতর্কতা সংকেতও। যার কারণে যানবাহন চালকরা মনে করেন ফাঁকা স্থান দিয়ে দুই ব্রিজের যে কোনো একটিতে ওঠা যাবে। ফাঁকা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিপদে পড়ছেন যানবাহন চালকরা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন সাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুয়াকাটাসহ বিভাগের অন্যান্য জেলার উদ্দেশে আসা মোটরসাইকেল চালকরা ভুল করে বিপদে পড়ছেন। রাতের বেলায় ফাঁকা স্থান ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে।
নগরীর বাসিন্দা গোলাম সবুর বলেন, অনেকে বুঝতে পারেন না, দুই ব্রিজের মাঝে কোনো রাস্তা নেই। দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য সমস্যা বেশি। এসব যানবাহন এসে না বুঝে দুই ব্রিজের ফাঁকে এসে বিপদে পড়ছেন। শীতের সময় ঘনকুয়াশার কারণে সবচেয়ে সমস্যা বেশি হয়। গত শীতের সময় নগরীর এ নম্বর সিঅ্যান্ডবি পোল এলাকায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী মোটরসাইকেল আরোহী দুজন পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়াও মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলে দুই ব্রিজের মাঝখানে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। চৌমাথা বাজারের পর দুই সেতুর পর আইল্যান্ডও ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। কিন্তু সড়ক বিভাগ কিংবা সিটি করপোরেশন কোনো দপ্তর চিহ্নিত করা ও নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। নগরীর ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি পোল এলাকার বাসিন্দা রিমন তালুকদার বলেন, রাতের বেলায় কোনো আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি। আইল্যান্ডে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবির বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটির দায়িত্বে রয়েছে। তাই আমরা বিষয়টি জানি না। নগরীর মধ্যে সড়ক। তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে কর্মকর্তা পাঠানো হবে। কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।