সিলেট নগরীতে যানজট কমাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ। কোথায় কতটি অটোরিকশা থামবে এই নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অটোরিকশা চালকরা সেই নির্দেশনা মানছেন না।
নির্ধারিত স্থানের বাইরেও স্ট্যান্ড গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া নির্ধারিত পার্কিংয়ে অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে বেশি অটোরিকশা রাখছেন। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) যানজট নিরসনের উদ্যোগ।
একসময় সিলেট নগরজুড়ে ছিল অটোরিকশা স্ট্যান্ড। ব্যস্ততম সড়কের যত্রতত্র অটোরিকশা চালকরা স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী ওঠানামা শুরু করেছিলেন। এ অবস্থায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সিসিক ও এসএমপির যৌথ উদ্যোগে নগরীর ৩০টি স্থানে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কোন স্ট্যান্ডে কতটি অটোরিকশা থামবে সেই নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ডও টানানো হয়। স্ট্যান্ডগুলোতে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ২০টি অটোরিকশার অনুমোদন দিয়েছে এসএমপি ও সিসিক। কিন্তু অটোরিকশা চালকরা সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্ট্যান্ডে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি অটোরিকশা রাখায় যানজট কমছে না। এ ছাড়া আগের মতো অনুমোদন ছাড়াই নগরীর বিভিন্ন স্থানে তারা স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছেন।
নগরবাসী বলছেন, কেবল সাইনবোর্ড টানালেই হবে না, চালকরা তা মানছেন কি না সেটিও সংশ্লিষ্টদের নজরদারি রাখতে হবে।
নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারের আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ও পুলিশ যদি মনে করে স্ট্যান্ড ও অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড টানিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ, তবে এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। কারণ অটোরিকশা চালকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। সুযোগ পেলেই তারা পুরো নগরকে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলবেন। এর আগেও সিটি করপোরেশন থেকে এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তদারকির অভাবে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি।’
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার জানান, সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার প্রধান দায়িত্ব পুলিশের। সিটি করপোরেশন এসএমপির সঙ্গে যৌথভাবে সাইনবোর্ড টানিয়েছে। অটোরিকশা চালকরা যাতে নিয়ম মানতে বাধ্য হন সেজন্য সিসিক ও এসএমপি যৌথভাবে কাজ করবে। এসএমপির উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।