বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অটোরিকশার পার্কিংয়ের কারণে যানজট বাড়ছে। এ ছাড়া রয়েছে মোটরসাইকেল পার্কিং। এসব যানবাহনের চালকরা কোনো নিয়মনীতি না মানার কারণে যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জেলখানার মোড়, বিবি পুকুরের উত্তর পাড়ে গির্জামহল্লা সড়কের মুখে, কাকলীর মোড়, লঞ্চঘাট, চকের পোল, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা ও রূপাতলী বাস টার্মিনালের গোল চত্বরে অটোরিকশা, থ্রি হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে অগোছালোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার রেখে যাত্রী ওঠানামা চলে। যে যার মতো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠায় ও নামায়। যার কারণে অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তখন বিভিন্ন যানবাহনের জট পড়ে যায়। নগরীর বাসিন্দা সবুর হোসেন বলেন, রূপাতলী বাস টার্মিনালের গোলচত্বরের চার পাশে সড়কের তিন ভাগের দুই ভাগ অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার পার্কিং করা ও যাত্রী ওঠানো নামানোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। তাই দুই মিনিটের পথ আধা ঘণ্টায় পৌঁছা যায় না। ট্রাফিক পুলিশ দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করেন। যার কারণে চালকরা নিজেদের ইচ্ছামতো যেখানে খুশি সেখান দাঁড়িয়ে পড়েন। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। সদর রোডের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, নগরীর ব্যস্ততম সদর রোড, চকবাজার, গীর্জামহল্লা ও ফলপট্টি গেলেই দেখা যায় পার্কিং করা মোটরসাইকেলের সারি। রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল রেখে কেনাকাটাসহ নিজেদের কাজ করতে যায়। সড়কের দুই ভাগ দখল করে মোটরসাইকেল রাখায় দুটি রিকশা চলাচল করতে পারে না। প্রাইভেট কার কিংবা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব প্রতিরোধে যাদের এগিয়ে আসার কথা সেই ট্রাফিক পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখছে না। যেমন খুশি তেমনভাবে চলছে নগরীর যানবাহনগুলো। ট্রাফিক পুলিশ কঠোর না হলে যানজটের ভোগান্তিতে থাকতে হবে নগরবাসীকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, যতই নিষেধ করি অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার চালকরা কথা শোনে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অপপ্রচার করে- ট্রাফিক পুলিশকে টাকা না দেওয়ায় তারা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক বিদ্যুৎ কুমার বলেন, বরিশাল নগরীতে ছয় ধরনের যানবাহন চলে। এসব যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে নেই। নগরীতে সিটি করপোরেশন থেকে কোনো স্ট্যান্ড নেই। ট্রাফিক পুলিশ নিরুপায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এ থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।