পরিচ্ছন্ন শহর রাজশাহীর সড়কগুলো ছিল প্রশস্ত, ঝকঝকে। তবে এখন খানাখন্দে ভরা সড়কগুলো নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কোনো সংস্কারকাজ হয়নি দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে। নগরীর অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে রাস্তার ওপরই যেন তৈরি হচ্ছে ছোট ছোট পুকুর। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ চলার কারণে নিচের সড়কগুলোও দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মতো রাজশাহী সিটির মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। গত বছরের ১৯ আগস্ট করপোরেশনের দায়িত্ব নেন প্রশাসক। এরপর থেকে নগরীর সড়ক সংস্কারে কোনো কাজ করা হয়নি। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং সাম্প্রতিক টানা বর্ষণে সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো সংস্কার না হওয়ার কথা স্বীকার করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন বলেন, মাঠপর্যায়ে জরিপ শেষ। সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে।
রাজশাহী নগরীর ভদ্রা লেকের সামনে থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চার-পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ হয়েছে বড়জোর এক বছর হলো। এরই মধ্যে সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। চলাচলে মনোযোগ হারালেই ঘটে দুর্ঘটনা। ভদ্রা লেকের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কের কিছুটা যেতেই দেখা গেল বেশ কিছু এলাকাজুড়ে বড় বড় গর্ত। এলাকার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বলেন, কন্ট্রাক্টর নামমাত্র কাজ করে টাকা নিয়ে গেছেন। তাই রাস্তা টেকেনি। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। চলাচল করতে প্রচণ্ড ভয় লাগে। ভদ্রা থেকে আমচত্বর পর্যন্ত পুরোটাই ভাঙা। শহরের প্রবেশপথ তালাইমারীতে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। সেখানে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। নগরীর বারো রাস্তার মোড়ের বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, এত সুন্দর রাস্তা! কিন্তু এক বছরও টিকল না।