গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে আটক অবস্থায় কমপক্ষে ৯৮ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। নির্যাতন ও চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলেরই একটি মানবাধিকার সংস্থা। একই সঙ্গে তারা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলভিত্তিক 'ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস' (পিএইসআরআই) সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া ৪৬ জন বন্দি ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের কারাগারে ও ৫২ জন সামরিক হেফাজতে মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটি এই নিহতের সংখ্যাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে বলছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
পিএইসআরআই জানিয়েছে, প্রাথমিক ময়নাতদন্ত ও সাক্ষীদের বর্ণনা থেকে বোঝা যাচ্ছে তীব্র নির্যাতনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মাথার আঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, পাজড়ের হাড় ভাঙা, চরম অপুষ্টি ও জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়া।
মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র কিছু বন্দির মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের আটক রাখা হয়েছে। পূর্বের আঘাত বা অসুস্থতার কারণে কিছু বন্দির মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি মামলা সামরিক পুলিশ তদন্ত করেছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা আইন মেনে বন্দিদের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত করা হয়।
সংস্থাটি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত কোনো ঘটনা সম্পর্কে তাদের জানা নেই। তারা জাতিসংঘের টর্চারবিরোধী কমিটির সঙ্গে সহায়তামূলকভাবে কাজ করেছে।
এদিকে, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো আটক ফিলিস্তিনিদের কারাবন্দি পরিস্থিতি নিয়ে বারবার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/এমই