পূর্ব এশিয়ার দুই শক্তি চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চলমান বিরোধ জাপানের সতর্কবার্তা জারির পর আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার জাপান চীন সফররত নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে জনসমাগমপূর্ণ জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাপানের প্রধান কেবিনেট সচিব মিনোরু কিহারা বলেছেন, সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ঘটনাগুলো দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে। যা চীনা গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়ায় এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কিহারা বলেন, দেশের বা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চীনে জাপানের দূতাবাস তার নাগরিকদের স্থানীয় রীতিনীতি মেনে চলতে ও চীনা নাগরিকদের সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আচরণের পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, বাইরে বের হলে সতর্ক থাকুন, একা ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন ও শিশুদের সঙ্গে থাকলে বিশেষ যত্ন নিন।
আরও বলা হয়েছে, কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাদের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন ও সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকা ত্যাগ করুন।
টোকিও-বেজিং উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীন দুইটি জাপানি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী স্থগিত করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি এটি 'বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নেওয়া সিদ্ধান্ত' বলে উল্লেখ করেছে।
চীনের দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান তার অংশ। প্রয়োজনে তারা জোরপূর্বক দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। তবে তাইওয়ান সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, দ্বীপের ভবিষ্যৎ তার জনগণই নির্ধারণ করবে।
চলতি মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি জানান, চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করলে তা জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তার এই বক্তব্য পূর্ব এশিয়ার দুই শক্তির মধ্যে গুরুতর কূটনৈতিক সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/এমই