রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরাতন ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে সড়কবাতি রয়েছে ১৫ হাজারের ওপর। এর মধ্যে ১০ হাজার সড়কবাতি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন থেকে। নতুন ওয়ার্ডগুলো এখনো পুরোপুরি সড়কবাতির আওয়ায় আসেনি। সড়কবাতি না থাকায় রাতে নগরবাসীকে অন্ধকারের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেক সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। গত রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর দুজন ছিনতাইকারী পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে। রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক স্টেশন রোড, জিএল রায় রোড, সেন্টাল রোডসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে অধিংকাংশ সড়কবাতি অচল। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার সড়কবাতির অবস্থা আরও নাজুক। অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সড়কবাতি না থাকায় ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নগরবাসীর অভিযোগ- রাতে বাতি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। অনেক সময় বখাটে ও ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় সন্ধ্যার পরে নারীরা ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।
এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা বেহাল। অধিকাংশ রাস্তা ভাঙাচোরা এবং ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অন্ধকারের কারণে রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাতি না থাকায় রাতে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাতে কেউ রাস্তায় বের হতে চান না ছিনতাইকারীদের ভয়ে। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন সড়কবাতি কিনতে টেন্ডার আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক জায়গায় বাতির সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্টোরের মালামাল শেষ হওয়ায় লাইটগুলো মেরামত হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করা হবে।