রংপুর নগরীর মডার্ন মোড় থেকে দমদমা পর্যন্ত সড়ক দ্বীপে কোনো গাছ নেই। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি ঢাকা-রংপুর ছয় লেন প্রকল্প সাসেক ২-এর অধীনে। মাঝখানে রয়েছে সড়ক দ্বীপ। জানা যায়, স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের জন্য এ সড়কে রয়েছে আরও দুটি পৃথক লেন। সেই লেনের পাশেও কদিন আগেও চোখে পড়ত নান্দনিক সব গাছ। সড়ক দ্বীপে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এক সময় লাগানো হয়েছিল শ্বেতকাঞ্চনসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ। তাপদাহ এবং অযত্ন অবহেলায় সড়ক দ্বীপের উদ্ভিদরাজি নিষ্প্রাণ এবং নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে। যেন কত দিন এখানে কেউ একটু যত্নও নিতে আসেনি। টিকে থাকা গাছগুলোও মৃতপ্রায়। এমন বেহাল দশায় সড়কের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেছে।
এ পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন বাংলা একাডেমির সহ-পরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না। তিনি বলেন, ‘রংপুর-ঢাকা এ মহাসড়ক এতটাই সুন্দর যে দেখে মনে হয় রানওয়ে। রাস্তা এতই প্রসারিত যে, তিন সারিতে লাগানো নান্দনিক গাছগুলো মন কেড়ে নিত। এ পথে কিছুদিন আগেও চোখে পড়ত শ্বেতকাঞ্চন, তিল, আকন্দ, ঝুনঝুনি, কাঁটাবেগুন, দুরন্তলতা ছাড়াও আরও নাম না জানা অনেক উদ্ভিদ। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলা এবং অপরিকল্পিতভাবে রোপণের কারণে গাছগুলো বেড়ে উঠতে পারেনি।