জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচির সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে বৈঠক করেছেন টকিও সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির দায়িত্ব গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকারকে স্বাগত জানান ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাকাইচি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি প্যাকেজ উপস্থাপন করেন, যেখানে জাহাজ নির্মাণ, মার্কিন সয়াবিন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পিকআপ ট্রাক কেনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাকাইচির এসব উদ্যোগ ট্রাম্পের সম্ভাব্য দাবি- ‘চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের’ মুখে জাপানের প্রতিরক্ষা খাতে আরও ব্যয় বাড়ানোর প্রশমিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে তাকাইচি ঘোষণা দেন, দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন তিনি।
বৈঠকের শুরুতে দু’জন করমর্দন করেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, “এটা একদম শক্তিশালী হ্যান্ডশেক।” টোকিওর আকাশাকা প্রাসাদে ছবি তোলার পর দু’জনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়। তারা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কথাও স্মরণ করেন, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং একসঙ্গে গলফ খেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতেন।
ট্রাম্প বলেন, “শিনজো ও অন্যদের কাছ থেকে যা শুনেছি, আপনি হবেন অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যও অভিনন্দন জানাই—এটা বিশাল অর্জন।”
তিনি জাপানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। জবাবে তাকাইচি বলেন, কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড ও ইসরায়েল–ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থাপনে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল “অভূতপূর্ব সাফল্য”।
২০২২ সালে মারা যাওয়া আবের সঙ্গে সবশেষ ২০১৯ সালে সাক্ষাৎ করতে জাপানের একটি অলঙ্কৃত প্রাসাদে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারের সফরে সোমবার ইম্পেরিয়াল প্যালেসে জাপানি সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই ট্রাম্পকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ