রংপুর সিটি করপোরেশনের কাগজেকলমে খোয়াড়ের সংখ্যা ৪২টি লেখা থাকলেও বাস্তবে এর দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, কিছু কিছু খোয়াড় এখনো চালু রয়েছে। কিন্তু নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে খোয়াড়ের খোঁজ মেলেনি। একসময় মানুষ নিজেদের গবাদি পশু রাস্তা কিংবা খোলা মাঠে ছেড়ে দিত। ওই পশু রাস্তার পাশের জমিতে ঢুকে ফসল খেয়ে ফেলত। তখন ক্ষতিগ্রস্ত মালিক ওই গরু অথবা ছাগলকে ধরে খোঁয়াড়ে দিত। নির্দিষ্ট অঙ্কের জরিমানা দিয়ে খোঁয়াড় থেকে গরু-ছাগল ফিরিয়ে নিতেন ওই গবাদি পশুর মালিক। একসময় খোঁয়াড় গ্রামগঞ্জ হাটবাজারের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত। সাধারণ গৃহস্থ যারা গরু-ছাগল পালতেন তাদের কাছে খোঁয়াড় এক সময় আতঙ্কের নাম ছিল। কিন্তু নানান কারণে খোঁয়াড় নামক শব্দটি হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের চলমান জীবন থেকে। বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে খোঁয়াড় হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে একসময় একাধিক খোঁয়াড় ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে কাগজেকলমে খোঁয়াড় ইজারা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখন খোঁয়াড় ইজারা নিতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেন না। সারা বছরে যে পরিমাণ গরু-ছাগল খোঁয়াড়ে আসত তাতে ইজারাদারদের ইজারার টাকা উঠত না। ফলে খোঁয়াড় ইজারার প্রথাটি উঠে যেতে বসেছে।
এ ছাড়া গরু-ছাগলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় গৃহস্থরা এখন অনেক যত্ন করে পবাদি পশু লালনপালন করেন। বাড়ি থেকে এখন আর কেউ গরু-ছাগল রাস্তায় ছেড়ে দেন না। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ৪২টি না থাকলেও এখনো বেশ কয়েকটি খোঁয়াড় সিটি করপোরেশনে রয়েছে। তবে আগের মতো কেউ আর গবাদি পশু খোঁয়াড়ে দেন না।